Ads Top

দেশ ত্যাগে নিষেধাজ্ঞা প্রসঙ্গে যা বললেন যুবলীগ চেয়ারম্যান

দেশ ত্যাগে নিষেধাজ্ঞা প্রসঙ্গে যা বললেন যুবলীগ চেয়ারম্যান

যুগান্তর রিপোর্ট

বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরী বলেছেন,‘আমি কোনো অপরাধ করিনি যে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাব।’

ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট গ্রেফতারের পর রোববার সন্ধ্যায় ওমর ফারুক চৌধুরীর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।

তিনি যাতে ভারতে পালিয়ে যেতে না পারেন সেজন্য সীমান্তে সর্তকতা জারি করা হয়েছে বলে জানান বেনাপোল পুলিশ ইমিগ্রেশনের ওসি মহসিন খান ।

মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) বিষয়টি ওমর ফারুকের কাছে উত্থাপন করেন সাংবাদিকরা।

সাংবাদিকরা বলেন, আপনার দেশ ত্যাগে নিষেধাজ্ঞা বিষয়ে বক্তব্য কি?

এমন কোনো সংবাদ তার কাছে আসেনি বলে জবাবে জানান যুবলীগ চেয়ারম্যান।

তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘এমন কোনো সংবাদ আমাকে জানানো হয়নি। আর আমি পালাতে যাব কেন? পালাবার তো কোনো কারণ নেই। আমি কোনো অপরাধ করিনি যে, আমাকে পালিয়ে যেতে হবে। ’

রাজনীতি করতে গেলে ভুলভ্রান্তি থাকতেই পারে স্বীকার করে তিনি বলেন, ‘আমি পালিয়ে যাবার লোক নই। আমি রাজনীতি করি। রাজনীতি করতে গেলে একটু আধটু ভুলভ্রান্তি থাকতেই পারে।’

ওমর ফারুক চৌধুরী আরও বলেন, ‘আমি কোনো অপরাধ করলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী আমাকে গ্রেফতার করবে। এর পর আমার কাজ হবে আদালতে নিজেকে নির্দোষ প্রমাণিত করা। অপরাধ হচ্ছে প্রমাণের বিষয়। কোনো অপরাধ প্রমাণে আগেই কাউকে এভাবে দোষী করা অনুচিত।’

সম্প্রতি সরকারের চলমান ক্যাসিনো অভিযানে যুবলীগের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সদ্য বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল হোসেন সম্রাট ও তার সহযোগী যুবলীগ নেতা আরমান গ্রেফতারের পর বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরীর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।

এই অভিযানে সম্রাটের আগে গ্রেফতার হন যুবলীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ, যুবলীগ নেতা গোলাম কিবরিয়া (জিকে) শামীম, লোকমান ভূঁইয়া ও শীর্ষ সন্ত্রাসী জিসান।  

ক্যাসিনো বাণিজ্য, টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজির অপরাধে অভিযুক্ত এসব নেতাদের গ্রেফতারের মধ্যেই আলোচনায় চলে আসেন যুবলীগ চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরী।

এসব অপরাধীর সঙ্গে তার সম্পৃক্ততা রয়েছে বলে গুঞ্জন ওঠে।  

জি কে শামীম, খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়াসহ আটকরা তাদের কর্মকাণ্ডের অংশীদার, সুবিধাভোগী ও প্রশ্রয়দাতা হিসেবে যুবলীগের চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরীর নাম উল্লেখ করেছেন বলে জানায় গোয়েন্দা সূত্র।

গত রোববার ক্যাসিনো গুরু সম্রাটকে গ্রেফতারের দুদিন আগে বৃহস্পতিবার যুবলীগ চেয়ারম্যান ওমর ফারুকের ব্যাংক হিসাব তলব করে বাংলাদেশ ব্যাংকের ফাইন্যান্সিয়াল ইনটিলিজেন্স ইউনিট- এফআইইউ।

ওমর ফারুক প্রধানমন্ত্রীর ফুফাত বোনের স্বামী। তিনি আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিমের ভগ্নিপতি।

© JUGANTOR.COM


from JUGANTOR https://jugantor.com/politics/229945/দেশ-ত্যাগে-নিষেধাজ্ঞা-প্রসঙ্গে-যা-বললেন-যুবলীগ-চেয়ারম্যান
https://ift.tt/2VqliJr

দেশ ত্যাগে নিষেধাজ্ঞা প্রসঙ্গে যা বললেন যুবলীগ চেয়ারম্যান

যুগান্তর রিপোর্ট

বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরী বলেছেন,‘আমি কোনো অপরাধ করিনি যে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাব।’

ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট গ্রেফতারের পর রোববার সন্ধ্যায় ওমর ফারুক চৌধুরীর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।

তিনি যাতে ভারতে পালিয়ে যেতে না পারেন সেজন্য সীমান্তে সর্তকতা জারি করা হয়েছে বলে জানান বেনাপোল পুলিশ ইমিগ্রেশনের ওসি মহসিন খান ।

মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) বিষয়টি ওমর ফারুকের কাছে উত্থাপন করেন সাংবাদিকরা।

সাংবাদিকরা বলেন, আপনার দেশ ত্যাগে নিষেধাজ্ঞা বিষয়ে বক্তব্য কি?

এমন কোনো সংবাদ তার কাছে আসেনি বলে জবাবে জানান যুবলীগ চেয়ারম্যান।

তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘এমন কোনো সংবাদ আমাকে জানানো হয়নি। আর আমি পালাতে যাব কেন? পালাবার তো কোনো কারণ নেই। আমি কোনো অপরাধ করিনি যে, আমাকে পালিয়ে যেতে হবে। ’

রাজনীতি করতে গেলে ভুলভ্রান্তি থাকতেই পারে স্বীকার করে তিনি বলেন, ‘আমি পালিয়ে যাবার লোক নই। আমি রাজনীতি করি। রাজনীতি করতে গেলে একটু আধটু ভুলভ্রান্তি থাকতেই পারে।’

ওমর ফারুক চৌধুরী আরও বলেন, ‘আমি কোনো অপরাধ করলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী আমাকে গ্রেফতার করবে। এর পর আমার কাজ হবে আদালতে নিজেকে নির্দোষ প্রমাণিত করা। অপরাধ হচ্ছে প্রমাণের বিষয়। কোনো অপরাধ প্রমাণে আগেই কাউকে এভাবে দোষী করা অনুচিত।’

সম্প্রতি সরকারের চলমান ক্যাসিনো অভিযানে যুবলীগের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সদ্য বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল হোসেন সম্রাট ও তার সহযোগী যুবলীগ নেতা আরমান গ্রেফতারের পর বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরীর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।

এই অভিযানে সম্রাটের আগে গ্রেফতার হন যুবলীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ, যুবলীগ নেতা গোলাম কিবরিয়া (জিকে) শামীম, লোকমান ভূঁইয়া ও শীর্ষ সন্ত্রাসী জিসান।  

ক্যাসিনো বাণিজ্য, টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজির অপরাধে অভিযুক্ত এসব নেতাদের গ্রেফতারের মধ্যেই আলোচনায় চলে আসেন যুবলীগ চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরী।

এসব অপরাধীর সঙ্গে তার সম্পৃক্ততা রয়েছে বলে গুঞ্জন ওঠে।  

জি কে শামীম, খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়াসহ আটকরা তাদের কর্মকাণ্ডের অংশীদার, সুবিধাভোগী ও প্রশ্রয়দাতা হিসেবে যুবলীগের চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরীর নাম উল্লেখ করেছেন বলে জানায় গোয়েন্দা সূত্র।

গত রোববার ক্যাসিনো গুরু সম্রাটকে গ্রেফতারের দুদিন আগে বৃহস্পতিবার যুবলীগ চেয়ারম্যান ওমর ফারুকের ব্যাংক হিসাব তলব করে বাংলাদেশ ব্যাংকের ফাইন্যান্সিয়াল ইনটিলিজেন্স ইউনিট- এফআইইউ।

ওমর ফারুক প্রধানমন্ত্রীর ফুফাত বোনের স্বামী। তিনি আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিমের ভগ্নিপতি।

© JUGANTOR.COM

No comments:

Powered by Blogger.