Ads Top

মা-বাবাকে শয্যায় রেখে চির বিদায় রুশদির

মা-বাবাকে শয্যায় রেখে চির বিদায় রুশদির

যুগান্তর রিপোর্ট

রাজধানীর মগবাজারে দিলু রোডের ভয়াবহ আগুনে দগ্ধ দম্পতির অবস্থা অপরিবর্তিত। প্রথম থেকেই তাদের দু’জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক ছিল। বৃহস্পতিবার ভোরের ওই আগুনে শহিদুল-জান্নাতুলের একমাত্র সন্তান একেএম রুশদি নিহত হয়। মা ও বাবাকে হাসপাতালের বিছানায় রেখেই শিশুটিকে নেয়া হয়েছিল হিমঘরে। সেখানে একদিন থাকার পর শুক্রবার রাতেই রুশদির লাশ দাফনের সিদ্ধান্ত নেন পরিবারের অন্য সদস্যরা।

শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইন্সটিটিউটের সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন যুগান্তরকে বলেছেন, প্রথম থেকেই শহিদুল কিরমানি রনি ও তার স্ত্রী জান্নাতুল ফেরদৌস জান্নাত ইন্সটিটিউটটের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) লাইফ সাপোর্টে রয়েছেন। আগুনে রনির শরীরে ৪৩ শতাংশ এবং জান্নাতের ৯৫ শতাংশ পুড়ে গেছে। তাদের শরীর অসম্ভবভাবে দগ্ধের কারণে ফুলে গেছে। এখনও তাদের বিষয়ে চূড়ান্তভাবে কিছু বলা যাচ্ছে না। তবে এ অবস্থা থেকে রিকভারি করার সম্ভাবনা খুবই কম।

ইন্সটিটিউটে দগ্ধ শহিদুল কিরমানি রনির বাবা ও কালের কণ্ঠের সিনিয়র প্রোডাকশন ম্যানেজার একেএম শহিদুল্লাহ জানান, তার নাতি একেএম রুশদির লাশ ময়নাতদন্তের পর বৃহস্পতিবার থেকেই শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইন্সটিটিউটের হিমাগারে রাখা হয়েছিল। আমরা অপেক্ষা করছিলাম যে তার বাবার অবস্থা কিছুটা ভালো হয় কি না। চিকিৎসকরা সম্ভাবনার কথা জানালে বাচ্চাটার লাশ আরও কিছুদিন হিমাগারে রাখতাম। তবে ডাক্তার আমাদের সেরকম কোনো আশা দিতে পারেননি।

এদিকে দিলু রোডের ওই ৫ তলা ভবনের নিচ তলায় সুইচ বোর্ডে শটসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে ফায়ার সার্ভিস প্রাথমিক তদন্ত রিপোর্টে উল্লেখ করেছে। গ্যারেজে থাকা গাড়িতে ছড়িয়ে পড়ায় ওই আগুন ভয়ংকর রূপ নেয় বলেও রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া দ্বিতীয় তলায় একটি বায়িং হাউসে থাকা কাপাড়ের কারণে ভবনের প্রচুর ধোঁয়ার সৃষ্টি হয় বলে জানায় ফায়ার সার্ভিস।

শুক্রবার সন্ধ্যায় রুশদির লাশ গ্রামের বাড়ি নরসিংদী শিবপুর উপজেলার ইটনা গ্রামের উদ্দেশে নিয়ে যাওয়া হয়। রাতেই নিজ বাড়িতে রুশদির লাশ দাফন করার কথা। নিহত রুশদির মামা মো. বিপ্লব বলেন, কালকের তুলনায় তাদের দু’জনের মুখ আরও ফুলে বিকৃত হয়ে গেছে। বৃহস্পতিবার আগুনের ঘটনায় আহতের স্বজনরা বার্ন ইন্সটিটিউটে আইসিইউর অপেক্ষা করছেন। কেউ কেউ দুর্ঘটনার পর থেকেই তাদের সঙ্গে হাসপাতালে রয়েছেন। একই আগুনের ঘটনায় নিহত আবদুল কাদের লিটন ও আফরিন জাহান জুথির লাশ ময়নাতদন্ত শেষে বৃহস্পতিবার বিকালেই তাদের পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

© JUGANTOR.COM


from JUGANTOR https://www.jugantor.com/todays-paper/second-edition/283654/মা-বাবাকে-শয্যায়-রেখে-চির-বিদায়-রুশদির
https://ift.tt/eA8V8J

মা-বাবাকে শয্যায় রেখে চির বিদায় রুশদির

যুগান্তর রিপোর্ট

রাজধানীর মগবাজারে দিলু রোডের ভয়াবহ আগুনে দগ্ধ দম্পতির অবস্থা অপরিবর্তিত। প্রথম থেকেই তাদের দু’জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক ছিল। বৃহস্পতিবার ভোরের ওই আগুনে শহিদুল-জান্নাতুলের একমাত্র সন্তান একেএম রুশদি নিহত হয়। মা ও বাবাকে হাসপাতালের বিছানায় রেখেই শিশুটিকে নেয়া হয়েছিল হিমঘরে। সেখানে একদিন থাকার পর শুক্রবার রাতেই রুশদির লাশ দাফনের সিদ্ধান্ত নেন পরিবারের অন্য সদস্যরা।

শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইন্সটিটিউটের সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন যুগান্তরকে বলেছেন, প্রথম থেকেই শহিদুল কিরমানি রনি ও তার স্ত্রী জান্নাতুল ফেরদৌস জান্নাত ইন্সটিটিউটটের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) লাইফ সাপোর্টে রয়েছেন। আগুনে রনির শরীরে ৪৩ শতাংশ এবং জান্নাতের ৯৫ শতাংশ পুড়ে গেছে। তাদের শরীর অসম্ভবভাবে দগ্ধের কারণে ফুলে গেছে। এখনও তাদের বিষয়ে চূড়ান্তভাবে কিছু বলা যাচ্ছে না। তবে এ অবস্থা থেকে রিকভারি করার সম্ভাবনা খুবই কম।

ইন্সটিটিউটে দগ্ধ শহিদুল কিরমানি রনির বাবা ও কালের কণ্ঠের সিনিয়র প্রোডাকশন ম্যানেজার একেএম শহিদুল্লাহ জানান, তার নাতি একেএম রুশদির লাশ ময়নাতদন্তের পর বৃহস্পতিবার থেকেই শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইন্সটিটিউটের হিমাগারে রাখা হয়েছিল। আমরা অপেক্ষা করছিলাম যে তার বাবার অবস্থা কিছুটা ভালো হয় কি না। চিকিৎসকরা সম্ভাবনার কথা জানালে বাচ্চাটার লাশ আরও কিছুদিন হিমাগারে রাখতাম। তবে ডাক্তার আমাদের সেরকম কোনো আশা দিতে পারেননি।

এদিকে দিলু রোডের ওই ৫ তলা ভবনের নিচ তলায় সুইচ বোর্ডে শটসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে ফায়ার সার্ভিস প্রাথমিক তদন্ত রিপোর্টে উল্লেখ করেছে। গ্যারেজে থাকা গাড়িতে ছড়িয়ে পড়ায় ওই আগুন ভয়ংকর রূপ নেয় বলেও রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া দ্বিতীয় তলায় একটি বায়িং হাউসে থাকা কাপাড়ের কারণে ভবনের প্রচুর ধোঁয়ার সৃষ্টি হয় বলে জানায় ফায়ার সার্ভিস।

শুক্রবার সন্ধ্যায় রুশদির লাশ গ্রামের বাড়ি নরসিংদী শিবপুর উপজেলার ইটনা গ্রামের উদ্দেশে নিয়ে যাওয়া হয়। রাতেই নিজ বাড়িতে রুশদির লাশ দাফন করার কথা। নিহত রুশদির মামা মো. বিপ্লব বলেন, কালকের তুলনায় তাদের দু’জনের মুখ আরও ফুলে বিকৃত হয়ে গেছে। বৃহস্পতিবার আগুনের ঘটনায় আহতের স্বজনরা বার্ন ইন্সটিটিউটে আইসিইউর অপেক্ষা করছেন। কেউ কেউ দুর্ঘটনার পর থেকেই তাদের সঙ্গে হাসপাতালে রয়েছেন। একই আগুনের ঘটনায় নিহত আবদুল কাদের লিটন ও আফরিন জাহান জুথির লাশ ময়নাতদন্ত শেষে বৃহস্পতিবার বিকালেই তাদের পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

© JUGANTOR.COM

No comments:

Powered by Blogger.