বিশ্বে অস্ত্র আমদানির শীর্ষে সৌদি, রফতানিতে যুক্তরাষ্ট্র
রিয়াদ, ১১ মার্চ - বিশ্বে অস্ত্রের ব্যবসা এখন সবচেয়ে চাঙা অবস্থায়। অস্ত্রের চাহিদা বেড়েছে মধ্যপ্রাচ্য ও এশিয়ায়। তাইতো বিশ্বের শীর্ষ অস্ত্র আমদানিকারক দশ দেশের আটটিই এই দুই অঞ্চলের। এদিকে রফতানিতে বরাবরের মতো শীর্ষে যুক্তরাষ্ট্র। দ্বিতীয় অবস্থানটি রাশিয়ার। তারপরই আছে ফ্রান্স, জার্মানি ও চীনের মতো দেশগুলো। সোমবার এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য দিয়েছে। তাদের এবারের ওই গবেষণাধর্মী প্রতিবেদনের শিরোনাম ছিল টেন্ডস ইন ইন্টারন্যাশনাল আর্মস ট্রান্সফার, ২০১৯। প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, ২০১৫ থেকে ২০১৯ সময়ে গোটা বিশ্বে যে অস্ত্র বাণিজ্য হয়েছে ২০১০ থেকে ২০১৪ সালের চেয়ে তা ৫ দশমিক ৫ শতাংশ বেশি এবং ২০০৫-২০০৯ সময়ের তুলনায় তা ২০ শতাংশ বেশি। সেই হিসাবে স্নায়ুযুদ্ধ-পরবর্তী বিশ্বে অস্ত্রের ব্যবসা সবচেয়ে রমরমা ছিল গত পাঁচ বছর। ২০১৫-১৯ এই পাঁচ বছরের সৌদি আরব ও ভারতের পর সবচেয়ে বেশি অস্ত্র আমদানি করেছে যথাক্রমে মিসর, অস্ট্রেলিয়া এবং চীন। এদিকে একই সময়ে অস্ত্র বিক্রিতে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার পর রয়েছে যথাক্রমে ফ্রান্স, জার্মানি ও চীন। পরের পাঁচ দেশ হলো যুক্তরাজ্য, স্পেন, ইসরায়েল, ইতালি এবং দক্ষিণ কোরিয়া। এদিকে অস্ত্র আমদানিতে ষষ্ঠ থেকে দশম স্থানে থাকা দেশগুলো হলো আলজেরিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ইরাক ও কাতার। এছাড়া শীর্ষ অস্ত্র আমদানিকারক দেশের তালিকার এগারোতম স্থানটি পাকিস্তানের। বিশ্বের মোট অস্ত্র আমদানির ১২ শতাংশ সৌদির এবং ভারতের অংশীদারিত্ব ৯.২ শতাংশ। প্রতিবেদনে, অস্ত্র রফতানির ক্ষেত্রে ৬৮টি দেশ এবং অস্ত্র আমদানির ক্ষেত্রে ১৬০টি দেশকে নথিভূক্ত করেছে। তাতে দেখা গেছে, অস্ত্র রফতানির শীর্ষ সব দেশগুলো পশ্চিমের। এদিকে আমদানির শীর্ষে রয়েছে এশিয়া এবং মধ্যপ্রাচ্যের সংঘাতকবলিত দেশগুলো। তবে সৌদি আরব ও ভারতের অস্ত্র আমদানিতে কিছু পার্থক্য রয়েছে। সৌদি আরবের মোট আমদানিকৃত অস্ত্রের ৭৩ শতাংশই আসে যুক্তরাষ্ট্র থেকে। এরপর ১৩ শতাংশ নিয়ে দ্বিতীয় যুক্তরাজ্য। এদিকে ভারতের মোট অস্ত্রের ৫৬ শতাংশের যোগানদাতা রাশিয়া। ১৪ শতাংশ নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে আছে ইসরায়েল। সূত্র : জাগো নিউজ এন এইচ, ১১ মার্চ
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/3aHRlem
via IFTTT
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/3aHRlem
via IFTTT
No comments: